অত্যন্ত কষ্টকর ও দূরহ বিষয়। জনাব নোয়াব হায়দার চৌধুরী বিষটি গভীরভাবে উপলদ্বি করতেন এবং বিষয়টি তাঁকে বেশ পীড়া দিত। এ সমস্যার প্রতি বিধান কল্পে তখন তিনি চৌয়ারা এবং আশেপাশের শিক্ষার্থী ও অভিভাবদের কল্যানে একটি কলেজ স্থাপনের স্বপ্ন
দেখতে থাকেন।
চাকরী হতে অগ্রীম অবসর গ্রহণ করে জনাব চৌধুরী কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। নানা প্রতিকূলাতা ডিঙ্গিয়ে তিনি অবশেষে ১৯৭২ সালে কলেজ প্রতিষ্ঠায় সফল হন। এলাকার আরও কতিপয় গন্যমান্য ও হিতৈশী ব্যক্তিবর্গ তাঁকে এ উদ্যোগে সহায়তা করেন। এসকল হিতৈষী ব্যক্তিবর্গের মাঝে ভিক্টোবিয়া সরকারী কলেজের তাৎকালীন অধ্যক্ষ জনাব সিরাজ উদ্দিন, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম ও অধ্যাপক নুরুল
ইসলাম এর অবদান বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। চৌয়ারা এর এর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক জনাব, সিরাজ উদ্দিন মজুমদার কলেজ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এছাড়াও জনাব আব্দুল খালেক, সেকান্দর আলী মেইকারসহ এলাকার আরো অনেক শিক্ষানুরাগী করেজ প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
পরবর্তীতে মরহুম নোয়াব হায়দার চৌধুরীর বড় সন্তান এবং সাবে এমপি ও হুইপ জনাব মনিরুল হক চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কলেজটি পূর্ণাঙ্গ রূপপায়। প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুর পর হতে অদ্যবদি জনাব মনিরুল হক চৌধুরী কলেজ গভর্নিং বডির প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য বলবৎ আছেন। প্রবলশিক্ষানুরাগী এ মানুষটি ১৯৫৮ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর করেজ গভর্ণিং বডি সভায় উপস্থিত হলে সভাচলাকালীন হঠাৎ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং এর কয়েক ঘন্ট পর ঐ দিন বিকেলে নিজ বাস ভবনে মৃত্যু বরণ করেন। শিক্ষা বিস্তারে এবং এলাকার কল্যাণে মরহুম আলহাজ্জ্ব নোয়াবহায়দার এ অবদান করেজ কর্তৃপক্ষ, শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং এলাকাবাসী অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।
চৌয়ারা ও পাশ্ববর্তী এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে শিক্ষাননুরাগী মরহুম আলহাজ্ব নোয়াবহায়দার চৌধুরীর উদ্দ্যেগের এবংএলাকার অপরাপর কতিপয় বদান্য ব্যক্তির আন্তরিত সহয়তায় ১৯৭২ সারে চৌয়ারা আদর্শ ডিগ্রী করেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। করেজের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আলহাজ্জ্ব নোয়াব হায়দার চৌধুরী ১৯০৫ সালের জুন মাসের মধ্যেবর্তী কোন একটিদ জন্মগ্রহণ কেরন বলে জানাযায়, তাঁর পিতা মরহুম দিলুমিয়া চৌধুরী এবং মাতা মরহুমা আজমের নেছা দুজনেই বেশ ধার্মিক ও সম্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তন ছিলেন। তিন ভাই-বোনের মধ্যে জনাব নোয়াব হায়দার চৌধুরী ছিলেন সর্ব কণিষ্ঠ। এলাকার প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে জনাব, নোয়াব হায়দার চৌধুরী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন এবং ঐ স্কুল হলেত এন্ট্রাস (এস এস সি) সমতুল্য পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হন, এর পর তিনি কালেক্টরের অধীনেরাজস্ব বিভাগের সরকারী চাকরীতে যোগদান করেন। সমকালে চৌয়ারা ও পাশ্ববর্তী এলাকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য কুমিল্লা শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে ভর্তি ও শিক্ষা কার্যক্রমের খরচ নির্বাহ করা ছিল
অত্যন্ত কষ্টকর ও দূরহ বিষয়। জনাব নোয়াব হায়দার চৌধুরী বিষটি গভীরভাবে উপলদ্বি করতেন এবং বিষয়টি তাঁকে বেশ পীড়া দিত। এ সমস্যার প্রতি বিধান কল্পে তখন তিনি চৌয়ারা এবং আশেপাশের শিক্ষার্থী ও অভিভাবদের কল্যানে একটি কলেজ স্থাপনের স্বপ্ন
দেখতে থাকেন।
চাকরী হতে অগ্রীম অবসর গ্রহণ করে জনাব চৌধুরী কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। নানা প্রতিকূলাতা ডিঙ্গিয়ে তিনি অবশেষে ১৯৭২ সালে কলেজ প্রতিষ্ঠায় সফল হন। এলাকার আরও কতিপয় গন্যমান্য ও হিতৈশী ব্যক্তিবর্গ তাঁকে এ উদ্যোগে সহায়তা করেন। এসকল হিতৈষী ব্যক্তিবর্গের মাঝে ভিক্টোবিয়া সরকারী কলেজের তাৎকালীন অধ্যক্ষ জনাব সিরাজ উদ্দিন, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম ও অধ্যাপক নুরুল
ইসলাম এর অবদান বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। চৌয়ারা এর এর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক জনাব, সিরাজ উদ্দিন মজুমদার কলেজ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এছাড়াও জনাব আব্দুল খালেক, সেকান্দর আলী মেইকারসহ এলাকার আরো অনেক শিক্ষানুরাগী করেজ প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
পরবর্তীতে মরহুম নোয়াব হায়দার চৌধুরীর বড় সন্তান এবং সাবে এমপি ও হুইপ জনাব মনিরুল হক চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কলেজটি পূর্ণাঙ্গ রূপপায়। প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুর পর হতে অদ্যবদি জনাব মনিরুল হক চৌধুরী কলেজ গভর্নিং বডির প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য বলবৎ আছেন। প্রবলশিক্ষানুরাগী এ মানুষটি ১৯৫৮ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর করেজ গভর্ণিং বডি সভায় উপস্থিত হলে সভাচলাকালীন হঠাৎ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং এর কয়েক ঘন্ট পর ঐ দিন বিকেলে নিজ বাস ভবনে মৃত্যু বরণ করেন। শিক্ষা বিস্তারে এবং এলাকার কল্যাণে মরহুম আলহাজ্জ্ব নোয়াবহায়দার এ অবদান করেজ কর্তৃপক্ষ, শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং এলাকাবাসী অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।
এ কলেজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহ-পাঠ্যক্রম কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক গুণাবলীর সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধন যাতে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে।