নান্দনিকতায়নন্দিত অনিন্দ সুন্দর সবুজ-শ্যামলতরু-তৃণ্যের থোকায় থোকায় লাল সবুজের আল্পনা আকাঁ কুমিল্লা সিটির উপকণ্ঠে আলহজ্ব চৌধুরীর অক্লান্ত পরিশ্রমে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় প্রতিষ্ঠিত চৌয়ারা আদর্শ ডিগ্রী কলেজ সেই ১৯৭২ সাল থেকে অদ্যাবধি সুনাম নিয়ে এগিয়ে চলছে। জ্ঞানার্জনের প্রথম ও প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে অধ্যায়ন। আর এজন্য সর্ব প্রথম যা প্রয়োজন তা হচ্ছে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ যা আমাদের পুরোটাই আছে বলে আমরা গর্বিত। আমাদের উদ্দেশ্য হলো পূণাঙ্গ শিক্ষাদিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের চরিত্রবান, আদর্শ ও আলোকিত মানুষ হিসেবে তৈরিকরা এবং সৃজনশীল শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের মননশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে একটি উন্নত মানব সম্পদ গড়ে তোলা। ছাত্র-ছাত্রীদের যে কোন সুযোগসুবিধার ক্ষেত্রে এ কলেজটি অনন্য। এছাড়া কলেজটিতে গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ সুযোগসুবিধা রয়েছে। তাই আমরা দৃঢ় বিশ্বাস ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, সমাজ সেবক এবং অত্র এলাকাবাসীর আন্তরিক সহযোগীতা অব্যাহত থাকলে আপনাদের সন্তানদের বর্তমান প্রতিযোগিতা মূলক বিশ্বে একজন যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো এবং চৌয়ারা আদর্শ ডিগ্রী কলেজ পৌছে যাবে সাফল্যের শীর্ষে।
বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ। বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মনে সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক প্রত্যেক কলেজের একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে। সেলক্ষ্যে আমাদের ওয়েবসাইটি হলো: www.cadc.edu.bd। এটি ব্যবহার করে ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক যেকোন অবস্থান থেকে কলেজের বেতন, ভর্তি ফি ও অন্যান্য যে কোন ফি জমা দিতে পারবে। এছাড়া এখান থেকে পরিক্ষার ফলাফল, মার্কশীট, নোটিশসহ যেকোন তথ্য সহজে পাওয়া যাবে।
পরিশেষে আপনদের সবার সু-স্বাস্থ্য ও সুন্দর জীবন কামনা করছি। আল্লাহ আমাদের সহায় হন।
চৌয়ারা আদর্শ ডিগ্রি কলেজটি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডে মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত। কলেজটি অত্র এলাকার শিক্ষানুরাগী ও সমাজ হিতৈষী ব্যক্তি নোয়াব হায়দার চৌধুরী কর্তৃক এলাকার জনগণের সহযোগিতায় ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবদি কলেজটি শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করছে। ফলশ্রুতিতে অত্র এলাকায় শিক্ষার হার, বিশেষ করে করে নারী শিক্ষার হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অত্র এলাকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কলেজের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিভিন্ন খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক ও কো-কারিকুলাম কার্যক্রমে ছাত্র-ছাত্রীগণ অংশগ্রহণ করার কারণে তারা মাদক ও সন্ত্রাস থেকে মুক্ত থাকতে পারছে। আমি আশা করি শিক্ষার মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলে ভবিষ্যতে আরো বেশি তৎপর থাকবে।
শিক্ষা মানব জাতির অমূল্য সম্পদ। সুসন্তান ও সুনাগরিক পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের আশির্বাদ স্বরূপ। সব সন্তানই সুসন্তান ও সুনাগরিক হয় না। তাকে গড়ে তুলতে হয় কিংবা লালন করতে হয়। এই লক্ষ্য সামনে রেখে আপনাদের সন্তানকে দক্ষ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ার মাধ্যম মানব সম্পদে রূপান্তর করার জন্য চৌয়ারা আদর্শ ডিগ্রি কলেজ বিগত ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে শিক্ষা বিস্তারে কাজ করে যাচ্ছে। জীবনের প্রায় ৩০টি বছর শিক্ষার সাথে জড়িত থাকার কারণে স্বাভভিকভাবে মনে প্রশ্ন আসে শিক্ষার মূল চালিকাশক্তি কে? শিক্ষক-অভিভাবক-সমাজপতি নাকি সরকার বাহাদুর। আমার মতে শিক্ষার মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে সরকার আর শিক্ষার প্রাণ-ভ্রমরা হচ্ছে শিক্ষক। সুতরাং শিক্ষকদের অবদান রেখে, মর্যাদাহীন করে, অবহেলার পাত্র বানিয়ে কিংবা শিক্ষকদের মাঝে বিভাজন তৈরী করে গুণগত শিক্ষা সম্ভব নয়। রাষ্ট্রকে এই বিষয়ে মনযোগ দিতে হবে। সমাজ কিংবা রাষ্ট্রকে বিশ্ব দরবারের সমকক্ষ করে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন, গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত ও শিক্ষকের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। শিক্ষকরা যাতে রাস্তায় দাঁড়াতে না হয় কিংবা পুলিশের লাঠিপেটা না খেতে হয় সেদিকে সরকারকে গভীর মমত্ব দিয়ে দেখতে হবে। তাহলেই একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ হবে, রাষ্ট্র হবে সমৃদ্ধশালী আর জাতি হবে উন্নত।
এ কলেজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহ-পাঠ্যক্রম কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক গুণাবলীর সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধন যাতে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে।